নীতিমালা ও কৌশলগত উদ্দেশ্যঃ
ঢাকা কাঠামো পরিকল্পনা (1995-2015) এর মূলনীতি
লক্ষ্যা নদী ও তার উপনদী, বালু নদী দূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যাতে এটি ঢাকা শহরের জন্য একটি কার্যকর, দীর্ঘ মেয়াদী পানির উৎস হিসাবে নিশ্চিত হয়। নদীর তীরে কোন বিপজ্জনক শিল্পের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
উদ্দীপক উদ্দেশ্যে লক্ষ্য একটি পরিসীমা শুরু এবং সমন্বয়। শহুরে পরিধির মনোনীত এলাকায় উন্নয়নের হার বাড়ানো।
FAP প্রস্তাব গুলির অধীনে বন্যা সুরক্ষা ব্যবস্থা গুলি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাজগুলি সমন্বয় সাধন করা।
পরিকল্পিত এলাকার উত্তর-পশ্চিমে ধামসনাকে ছড়িয়ে দেওয়া স্যাটেলাইট শহরে উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকারের স্থান হিসাবে।
গাজীপুর, সাভার, কালীগঞ্জ ও পূর্বাচল (ইউসুফগঞ্জ) এর মতো অবশিষ্ট স্যাটেলাইট শহরে সরকারীভাবে শুরু হওয়া উন্নয়নের সাথে এটি এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
রাজউকের নিয়ন্ত্রণ এলাকায় বিশেষ লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করা। টঙ্গী, ধামসন, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের পরিকল্পনায় চিহ্নিত অবস্থান। জনসংখ্যা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি উদ্দীপিত করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিবেচনা করা উচিৎ।
শিল্প এলাকাসমূহঃ
স্ট্রাকচার প্ল্যান পর্যায়কালে ২০১৫ পর্যন্ত উন্নয়নের জন্য আরও নতুন সাধারন শিল্প এলাকা নির্ধারণ করবে যখন তেজগাঁও এবং টঙ্গী শিল্প এলাকাগুলো
পূর্ণ ও সর্বোত্তম ক্ষমতার মধ্যে কাজ করবে।
নিয়ন্ত্রনমুক্ত শিল্পকারখানাঃ
নিয়ন্ত্রনমুক্ত শিল্প এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান এ বিভিন্ন বিশেষ অঞ্চলে প্রস্তাবনা রয়েছে যেখানে শিল্প হবে দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর। এই এলাকাগুলো প্রাক- মনোনীত/ প্রাক- নির্ধারিত শিল্প এলাকা হবে।
দূষণকারী শিল্পকারখানাঃ
কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত উন্নয়ন এবং ঢাকায় অবস্থিত দূষণকারী শিল্পকারখানাসমূহ প্রয়োজনীয় স্থানে পূনঃস্থাপনের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রনয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে যা সাশ্রয়ী হবে এবং সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
ইনফরমাল সেক্টর কার্যক্রমঃ
ইনফরমাল সেক্টরের অর্থনৈতিক কার্যক্রম উৎসাহিত করার জন্য প্রতিবন্ধক নীতিমালা সমূহকে শিথীল করার মাধ্যমে অবস্থানগত উন্নয়ন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
বাণিজ্যিক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণঃ
ঢাকার অধিকাংশ কর্মক্ষম জনবলের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষ ক্রমন্বয়ে বর্তমান বাণিজ্যিক কার্যক্রমসমূহকে বিকেন্দ্রীকরণ করে বর্তমান উপ-শহর এবং নতুন প্রবৃদ্ধি এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ক্রমবর্ধমান বিস্তারকে অগ্রসর করার চেষ্টা করবে।
শহরের উন্মুক্ত এলাকাঃ
প্রতিষ্ঠিত নগর এলাকার মধ্যে উন্মুক্ত এলাকা এবং বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির জন্য সরকারি খালি/পতিত এবং খাস জমি সমূহ ব্যবহার করতে হবে।
ওঘঋজঅঝঞজটঈঞটজঊ ঝঊঈঞঙজ চড়ষরপরবং ড়ভ ঝঁন অৎবধং
ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক উন্নয়নঃ
স¤পদ সংরক্ষণ এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবতি দীর্ঘমেয়াদী সড়ক নেটওয়ার্ক এর সামগ্রিক ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং প্রদত্ত সেবা প্রদানের জন্য প্রত্যক্ষ চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। সকল প্রস্তাবতি রাস্তাসমূহ পর্যায়ক্রমে নির্মাণ করতে হবে।
ইস্টার্ন বাইপাসঃ
কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি সীমিত প্রবেশাধিকার সম্বলিত ইস্টার্ন বাইপাস তৈরী করবে যা বহির্গামী জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্ক এবং বর্তমান নগর সড়ক নেটওয়ার্ক এর মধ্যে একটি মূল সংযোগ হিসাবে কাজ করবে।
কম্যুটার রেল নেটওয়ার্কঃ
দীর্ঘমেয়াদী কৌশল এ কম্যুটার রেল নেটওয়ার্ক পদ্ধতি ঘনবসতি পূর্ণ প্রধান নগর এলাকার জনগনকে সেবা প্রদান করবে।
সাবওয়ে উন্নয়ন কর্মসূচীঃ
ঢাকার ভবিষ্যতের ট্রাফিক প্রবাহ এবং গণ পরিবহন সহজতর করার অন্যতম উপায় হলো সাবওয়ে। প্রস্তাবিত সাবওয়ে লাইনগুলো হবে যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী, জিনজিরা থেকে মিরপুর, মাদানী এভিনিউ থেকে মিরপুর রোড (বিউটি সিনেমা হল), ফুলবাড়িয়া থেকে মাদারটেক, গাবতলী থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট টার্মিনাল থেকে মিরপুর রোড এবং ফার্মগেট থেকে আসাদগেট।